জমজমের পানি খাওয়ার ৭টি উপকারিতা
জমজম কূপের পানি পৃথিবীর সবথেকে শ্রেষ্ঠ পানি। আমরা জমজম কূপের পানির সম্পর্কে অনেক কিছু জানাবো আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে জমজমের পানি খাওয়ার ৭টি উপকারিতা জমজম কূপের পানির বৈজ্ঞানিক ও ইসলামিক তথ্য জমজমের পানি কতদিন রাখা যায় তা জানানো হবে।
এই পানির রয়েছে অনেক গুনাগুন, বরকত, রহমত অলৌকিক ঘটনা ও ইতিহাস। জমজমের পানি সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম যে নিয়ম দোয়া ও বরকত সম্পর্কে আলোচনা করেছেন চলুন সে বিষয়ে জেনে আসি।
জমজমের পানি খাওয়ার দোয়া
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَّرِزْقًا وَّاسِعًا وَّشِفَاءً مِّنْ كُلِّ دَاءٍ উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান না ফি'আ, ওয়া রিযকন ওয়া সি'আ, ওয়া সিফা আম মিন কুল্লি দা ইন।
অর্থঃহে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার নিকট উপকারি ইলম এবং হালাল প্রশস্ত রিজিক এবং সর্বপ্রকার রোগের সিফা চাচ্ছি।
জমজমের পানি সম্পর্কে হাদিস
জমজমের পানি পৃথিবীর সবথেকে শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম পানি। পৃথিবীর হাজার ফোঁটা পানি জমজম পানির এক ফোটার সমান। এই সম্পর্কে "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন", পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পানি জমজম। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্যের বৈশিষ্ট্য পুষ্টিগুণ ও রোগ বালা থেকে মুক্তি। (আলমুজামুল কাবীর ১১১৬৭; মাজমাউজ যাওয়াজেদঃ ৫৭১২)।
"রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম" আরো বলেছেনঃ তোমরা যে উদ্দেশ্যে জমজমের পানি পান করবে তা পূরণ হবে। তোমরা যদি এ পানি রোগ মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে সুস্থতা চাও তাহলে সুস্থতা পাবে। মুসতাদরাকে হাকেমঃ ১৭৩৯।
জমজমের পানি কেন দাঁড়িয়ে খেতে হয় ?
জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করা জায়েজ। তাছাড়া পৃথিবীর যেকোনো পানি বসে পানাহার করাই সুন্নত। হাদিসে অন্য যেকোনো পানি দাঁড়িয়ে পান করার ব্যাপারে কঠোর সাবধানতা এসেছে। (মুসলিম হা/২০২৪; মিশকাত হা/৪২৬৬, ৬৭)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কোন ব্যক্তি যদি দাঁড়িয়ে পানি পান করার ক্ষতি সম্পর্কে জানত তাহলে সে সাথে সাথে বমি করে ফেলতো। (আহমাদ হা/৭৭৯৫-৯৬)।
বিদায় হজের সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভিড়ের মধ্যে জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করেছেন। মিশকাত হা/ ৪২৬৮। একদিন কুফার মসজিদ আঙ্গিনাই আলী (রা) অজু করে অতিরিক্ত পানি দাঁড়িয়ে পান করেন এবং বলেন আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দাঁড়িয়ে পানি পান করতে দেখেছি। (বুখারী হা/৫৬১৬; মিশকাত হা/৪২৬৯;।
শুধু ভিড়ের কারণ নয় আরো অনেক কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পানি দাঁড়িয়ে পান করেছেন সে বিষয়ে মহাদ্দিসগণ বলেনঃ- জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করা জায়েজ এটা বুঝানোর জন্য এবং সেখানে বসার কোন ব্যবস্থা ছিল না জায়গাটাই ভেজা স্যতস্যেতে হয়ে থাকার কারণে নবীজি দাঁড়িয়ে পানি পান করেন।
জমজমের পানি খাওয়ার ৭টি উপকারিতা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ পানি পান করার নির্দেশ দিয়ে বলেছেনঃ জমজমের পানি আল্লাহর পক্ষ থেকে বরকতময় ও নিয়ামত বাণী তোমরা যারা হজে অংশ তারা জমজমের পানি পান করবা। এই পানির তৃপ্তি সহকারে পান করা ঈমানের বহিঃপ্রকাশ। এই পানি কেউ যদি কোন উদ্দেশ্যে বা নিয়তে পান করে তা আল্লাহ তাআলা পূরণ করেন। (ইবনে মাজাহ)।
জমজমের পানি খাওয়ার ৭টি উপকারিতা ঃ
- অন্য যেকোনো পানির থেকে জমজম পানিতে পুষ্টিগুণ বেশি এতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর পরিমাণ সামান্যবেশি থাকে।
- জমজমের এক ফোঁটা পানি পৃথিবীর অন্য যেকোনো পানির হাজার ফোটার সমান এবং এক ফোঁটা পানি অন্য পানিতে মেশালে সে পানি জমজমের পানির বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।
- এই পানিতে কোন প্রকার দূষণকারী পদার্থ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
- জমজমের পানি পান করলে দেহের সেল সিস্টেম শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
- জমজম পানির প্রতি লিটারে বাইকার্বনেট এর পরিমাণ ৩৬৬ মিলিগ্রাম।
- জমজমের পানিতে জীবাণু নাশক ক্ষমতাও রয়েছে।
- জমজম পানি শরীরের অতিরিক্ত এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে গ্যাস্ট্রিক আলসার হৃদযন্ত্র গঠিত বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণ করে।
জমজমের পানি খেলে কি হয় ?
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন জমজমের পানিতে রয়েছে অনেক বরকত ও নিয়ামত। তোমরা তৃপ্তি সহকারে জমজমের পানি পান করবা এতে ঈমানের বহিঃপ্রকাশ রয়েছে। তোমরা যারা কোন উদ্দেশ্য বা নিয়ত করে এই জমজমের পানি পান করবা আল্লাহ তা'আলা তোমাদের সেই উদ্দেশ্য বা নিয়ত পূরণ করবে। এছাড়া জমজমের পানিতে ইসলামিক ও বৈজ্ঞানিক দুটি দিক থেকেই অনেক ফজিলত ও জমজমের পানি খাওয়ার ৭টি উপকারিতা পাওয়া যায়।
অন্য যেকোনো পানির থেকে জমজমের পানি খেলে পানির থেকে বেশি ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। অন্য পানির ১০০০ ফোঁটা সমান জমজম পানির একফোঁটা এই জন্য জমজম পানিতে বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে। এই পানিতে কোন প্রকার দূষণকারী পদার্থ থাকে না, তাই দেহে সুস্থতা বজায় রাখে। জমজমের পানি পান করলে দেহের সেল সিস্টেম শক্তির মাত্রা দ্বিগুণ হয়।
জমজম পানির প্রতি লিটারে রয়েছে বাইকার্বনেট এর পরিমাণ ৩৬৬ মিলিগ্রাম। জমজমের পানিতে প্রচুর পরিমাণে এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ।যেটি আপনার গ্যাস্ট্রিক আলসার হৃদযন্ত্র গঠিত বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণ করে।
জমজমের পানির সাথে পানি মিশিয়ে খাওয়া
জমজমের পানির সাথে অন্য পানি মিশিয়ে খাওয়ার কোন নির্দেশ নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা কোন সাহাবায়ে কেরাম জমজমের পানির সাথে অন্য পানি মিশিয়ে খেয়েছেন এরকম কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জমজমের পানির অনেক ফজিলত আছে ,তাই অল্প অল্প করে খেলে তাও ফজিলত পাওয়া যাবে।
তবে অনেক আলেমগণ ও মুহাদ্দিসগণ বলেছেন জমজমের পানির সাথে যতটুকু অতিরিক্ত পানি মেশানো হবে ততটুকু ফজিলত বা বরকত ও জমজমের পানি খাওয়ার ৭টি উপকারিতা কমে যাবে।
এই বিষয়ে শায়খ জিবরিণ রহ; বলেনঃসব থেকে উত্তম হলো শুধু জমজমের পানি পান করা। জমজমের সাথে যদি অন্য পানি মেশানো হয় তাহলে যতটুকু জমজমা অবশিষ্ট থাকবে ততটুকু হুকুম অবশিষ্ট থাকবে, সেই মেশানো পানি দিয়ে চিকিৎসা ও যদি করে তাতে নির্ভেজাল পানির তুলনায় উপকারিতা কম হবে ।
জমজমের পানি কতদিন রাখা যায়
জমজমের পানি কখনোই নষ্ট হয় না তবে যদি আপনি সেটি সংরক্ষণ করতে পারেন। আপনি যদি কোন মুখ বন্ধ অ্যালুমিনিয়াম স্টিল কিংবা কাঁচের পাত্রে পানি রাখতে পারেন তাহলে আজীবন এই পানি পান করতে পারবেন বা সংরক্ষণ করতে পারবেন। তবে যদি প্লাস্টিকের পাত্রে রাখা হয় তাহলে উক্ত প্লাস্টিকের মেয়াদ শেষ হলে সেটি একপ্রকার রাসায়নিক পদার্থ বের করে যা পানিকে দূষিত করে ফেলে।
তখন পানিটা খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে যায় হয়ে যায় এবং জমজমের পানি খাওয়ার ৭টি উপকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে না পারলে তাতে ধুলোবালি বা গন্ধ হতে পারে তখন সেটি পুকুরে ঢেলে দেওয়ায় উত্তম হবে। তাছাড়া আপনি যদি সরাসরি জমজমের পানি নিয়ে এসে সংরক্ষণ করে রাখেন ভালোভাবে তাহলে আজীবন পান করতে পারবেন কখনো নষ্ট হবে না।
জমজমের পানি খাওয়ার নিয়ম
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন পৃথিবীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ পানি হচ্ছে জমজমের পানি, এতে রয়েছে অনেক ফজিলত বরকত ও পুষ্টিগুণ। হাদিসে বর্ণিত আছে "হযরত মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান বিন আবু বক্কর" (মাকবুল) বলেনঃ- আমি একদিন বসেছিলাম হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর কাছে তার কাছে এক ব্যক্তি এসেছিল এবং তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কোথায় থেকে এসেছ? তিনি বললেন জমজমের কাছ থেকে এসেছি।
তখন শায়েখ তাকে বলে তুমি কি নিয়মিত জমজমের পানি পান করো, জমজমের পানি পান করার কিছু নিয়ম ও বিধান রয়েছে যেমনঃ-প্রথমে কেবলামুখী হবে। আল্লাহর নাম স্মরণ করবে। আস্তে আস্তে তিন নিঃশ্বাসে পানি পান করবে। তৃপ্তি সহকারে পান করবে। পানি পান করা শেষে তুমি পুনরায় আবার আল্লাহর প্রশংসা করবে ।"এই বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন" আমাদের মধ্যে এবং মুনাফিকের মধ্যে পার্থক্য এটাই আমরা জমজমের পানির তৃপ্তি সহকারে পান করি এবং তারা করেনা। (ইবনে মাজাহ)
জমজম কূপের বৈজ্ঞানিক রহস্য
জমজম কূপের পানির স্তর মাটি থেকে প্রায় ১০.৬ ফুট নিচে। জমজম পানি ৮ হাজার লিটার প্রতি সেকেন্ডে 24 ঘন্টা ধরে পাম্প করা হয়। পানির পাম্প করার সময় জমজম পানির স্তর ৪৪ ফুট নিচে নেমে যায় কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল পানি বন্ধ করার ১১ মিনিটের মধ্যেই আবার ১৩ ফুট উপরে প্রতি সেকেন্ডে ৮ হাজার লিটার পানি পাম্প করার মত পানি উঠে চলে আসে।
প্রায় ৬৯০ মিলিয়ন পানি উত্তোলন করার পরেও ১১ মিনিটের মাথায় আবার আগের অবস্থায় চলে আসে এটি দেখে বিজ্ঞানীরা অবাক হন।জমজম পানি কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছেঃ এই পানির কোন রং নেই বা কোন গন্ধ নেই ।সাধারণ পানি আমাদের পিপাসা মিটাই কিন্তু জমজমের পানি আমাদের পিপাসা এবং ক্ষুধা দুটি মেটাই।
জমজমের পানি খাওয়ার ৭টি উপকারিতা রয়েছে, এই পানিতে অধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে এর ফলে আমাদের ক্লান্তি দূর করে এতে ফ্লোরাইড রয়েছে এজন্য এটি জীবাণু প্রতিরোধ সহায়ক।অন্য সাধারণ পানির সাথে যদি জমজমের পানি একফোঁটা মেশানো হয় তাহলে পুরো পানিটাই জমজমের মত বিশুদ্ধ হয়ে যায়। জমজম পানি নিজস্ব খনিজ গুনাগুন রয়েছে যা অন্য কোন পানির মধ্যে নেই।
জমজমের পানির ইতিহাস
জমজম কূপের বিষয়ে বুখারী শরীফে অনেক হাদিস বর্ণিত রয়েছে, হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সাল্লাম আল্লাহর হুকুমে তার দুধের শিশু ইসমাইল এবং বিবি হাজেরা কে মক্কার তৃণবিহীন উপত্যকায় রেখে চলে আসেন। বিবি হাজিরা আলাইহিস সালাম এর কাছে রেখে যাওয়া খাওয়ার শেষ হয়ে গেছিল। তখন ছোট শিশু হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম পিপাসা ক্ষুধা জ্বালায় ছটফট করছিলেন ।
তখন বিবি হাজেরা আলাইহিস সালাম পেরেশানি হয়ে কখনো সাফা পাহাড়ের উপর কখনো মাওয়া পাহাড়ের উপর উঠছিলেন এই ভেবে যে উপরে হয়তো পানিদানকারী কেউ আছে বা সেখানে পানি পাবে। হঠাৎ তিনি একটি আওয়াজ শুনতে পেলেন এবং সে আওয়াজের দিকে ছুটে এসে দেখলেন হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম জমজম কূপের কাছে দাঁড়িয়ে আছেন ।
এবং সে নিজের পায়ের গোড়ালি দিয়ে জমিন খনন করছেন সেখান থেকে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করলো তৎক্ষণাৎ হযরত হাজেরা আলাইহিস সাল্লাম পাথর জমা করে পানিকে আটকে একটি হাউজের মত আকৃতি দিল ।সেগুলো যেন কোথাও নষ্ট না হয়ে যায় ,"নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন" যদি বিবি হাজেরা আলাইহিস সাল্লাম এমনটা না করতেন তাহলে জমজম একটি নদীতে পরিণত হতো।
লেখকের মন্তব্য
আমরা ইতিমধ্যেই জমজমের সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি জমজমের বৈজ্ঞানিক ইসলামিক বিষয় ইতিহাস ইত্যাদি পুরো আর্টিকেলটি পড়ে আমরা জমজমের পানি খাওয়ার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপদেশ অনুযায়ী নিয়ম মেনে পানি পান করবো ।
এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আমরা নিয়মিত এই ওয়েবসাইটে এইরকম ইসলামিক তথ্য প্রকাশ করে থাকি আপনারা এরকম তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন ।আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করছি এবং আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url