চুল পড়া বন্ধ করার ৭টি দ্রুত উপায়

বর্তমানে চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে অধিকাংশ মানুষই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। আপনি হয়তো চুল পড়া রোধের তথ্য নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। আপনাকে আমরা সঠিক তথ্য দিচ্ছি আজকের এই আটিকেলে আপনাকে জানাবো চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, চুল পড়া বন্ধ করার ৪টি তেলের নাম, চুল পড়া বন্ধ করা শ্যাম্পুর নাম, ওষুধের নাম, ও ঘরোয়া জিনিস ব্যবহার করে কিভাবে চুল পড়া রোধ করা যায়।

চুল পড়া বন্ধ করার ৭টি দ্রুত উপায়

এ আঁটিকেলের বিষয়বস্তুর মাধ্যমে আপনি অবশ্যই উপকৃত হবেন। কারণ এই সকল তথ্যগুলো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। চলুন চুল পড়া রোধের সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

চুল পড়া বন্ধ করার ৪টি তেলের নাম 

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এর জন্য অনেক তেল রয়েছে তবে এগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি প্রমাণিত যে চারটি তেল রয়েছে তা হলঃ

১ রোজমেরী অয়েল রোজমেরী আসেনশিয়াল ওয়েলঃ এই অয়েল চুলের রক্তনালী প্রসারিত করে চুলের কোষ সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এটা চুলে অক্সিজেন সরবরাহ করে ও পুষ্টির যোগান দেয় এবং চুলকে ঘন করে ।এই তেল নারকেল তেলের সাথে পাঁচ থেকে ছয় ফোটা মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করে এটি ১৫ থেকে ২০ মিনিটে রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

২ লেমন গ্রাস অয়েলঃ এই অয়েল চুলের খুশকি কমাতে সাহায্য করে এবং আমরা সকলেই জানি চুল পড়ার অন্যতম কারণ হলো চুলে খুশকি। এ তেলের সুগন্ধ অনেক প্রশান্তিদায়ক এবং এটি আপনার স্কিনের ড্রাইভার দূর করে ,নিয়মিত যে শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয় তার সাথে তিন থেকে চার ফোঁটা এই অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

চুল পড়া বন্ধ করার ৪টি তেলের নাম

৩ বার্গামঠ ওয়েলঃ অয়েল টি এন্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান সম্পন্ন এটি চুলের স্বাস্থ্যকর স্কিনের জন্য উপযোগী অয়েল। এটিরবৈশিষ্ট্য হল এটি আপনার চুলের স্কিনকে ঠান্ডা রাখবে ফোড়া বা অতিরক্ত ঘামের মত সমস্যা দূর করবে। এটি নারকেল তেলের সঙ্গে তিন থেকে চার ফোঁটা মিশিয়ে চুলের স্ক্রিনে লাগাতে হবে তারপরে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

৪ সাইডার উড অয়েলঃ- এই ওয়েলটি সাধারণত ব্যবহার করা হয়ে থাকে ভবিষ্যতে চুল পড়া বন্ধ করার জন্য। এই অয়েলটি চুলের জন্য দরকারি ব্যাকটেরিয়াকে কাজ করার জন্য পরিবেশ তৈরি করে দেয়। এই অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চুলের খুশকি ভাব দূর করে চুলকে স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুন করে, চুল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই অয়েল টি নারকেল তেল বা কোস্টার অয়েলের সঙ্গে তিন ফোঁটা মিশিয়ে চুলের স্ক্রিনে ব্যবহার করতে হবে।

চুল পড়া বন্ধ করার উপায়

চুল পড়া বন্ধের জন্য আমাদের নিয়মিত সুষম খাওয়ার খাওয়া উচিত। আরো কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে, যেমন স্বাভাবিকভাবে চুল শুকান, উচ্চ তাপে ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার না করা ,হেয়ার স্টাইল খুব টাইট এড়িয়ে চলা, নিয়মিত চুল আঁচড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয, চুল ধোয়া বা আচড়ানোর সময় আমাদেরকে খুব যত্নশীল হওয়া উচিত।চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এর জন্য যে কাজগুলো খুব জরুরী ভিত্তিতে করবেনঃ-
  • সুষম খাদ্য নিশ্চিত করুন । 
  • এসিয়াল অয়েল দিয়ে মাথার ত্বক মেসেজ করুন ।
  • রাসায়নিক যুক্ত প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন ।
  • অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন ।
  • চুলের যত্নে সঠিক রুটিন মেনে চলুন ।

চুল পড়া বন্ধ করার ৭টি দ্রুত উপায়

মাথার চুল পড়া একটি স্বাভাবিক বিষয় তবে চুলে হাচড়ালেই যদি চিরুনি চুলে ভরে যায় তবে সেটি অস্বাভাবিক ও দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে এগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিকারের কিছু নিয়ম বা সাহায্য রয়েছে চলুন আমরা সেগুলো জেনে নিই কিভাবে আমরা চুল পড়া বন্ধ করার উপায় ও নিয়ন্ত্রণ করবো সাতটি উপায়েঃ-

১.কেমিক্যাল ব্যবহার বন্ধ করুনঃ আমাদের চুলে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। মাথায় এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে যাতে সালফেট ও প্যারাবিন মুক্ত থাকে। এক্ষেত্রে ওয়েল বেইজ বা কন্ডিশনার বেড স্যাম্প ব্যবহার করতে পারলে অনেক ভালো এই শীত ও আবহে সবথেকে ভালো কাজ করে থাকে এটি।

২.ময়েশ্চারাইজারঃ শীতে এমন কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে যার মধ্যে অনেক পরিমাণে মশ্চারাইজার রয়েছে। চুলে কেমিক্যাল যুক্ত রং ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এতে চুলের মশ্চারাইজার কমে যায়। এর পরিবর্তে হেনা ব্যবহার করাই সবথেকে ভালো বা চেষ্টা করুন বাসায় মেহেদি পাতা বেটে বা হেনাপ্যাক ব্যবহার করতে।

৩.মাথায় গরম পানি নয়ঃ চুল ভালো রাখার জন্য সব সময় স্বাভাবিক পানি ব্যবহার করাই ভালো গরম পানির চুলের জন্য ক্ষতিকর।

৪.হিট ব্যবহার বন্ধঃ হিট ব্যবহার করে আমরা অনেক সময় হেয়ার স্টাইল করে থাকি। হিট ব্যবহার করলে আমাদের চুল আরও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই হিট ব্যবহারের পরে স্বাভাবিক উপায়ে চুলকে আস্তে আস্তে শুকাতে দিন। সব থেকে উত্তম হলো হিট ব্যবহার না করা এটি এড়িয়ে চলা।

৫.শীতে প্রতিদিন মাথায় পানি নয়ঃ আমরা অনেকেই শীতে মাথার ময়লা দূর করতে অনেক শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলি। শীতে প্রতিদিন মাথায় শ্যাম্পু করার কোন প্রয়োজন নেই ,সপ্তাহে এক থেকে দুইবার করলেই হবে। এর ফলে মাথায় থাকা প্রাকৃতিক সিরাম অর্থাৎ চুল চকচকে দেখায় ,এর ফলে শীতেও আমাদের চুল থাকবে সুন্দর সুস্থ এবং ঝলমলে।

৬.খাবারঃ খাবার চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এর জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শীত মৌসুমে যেসব ফলমূল শাকসবজি হয়ে থাকে সেগুলো বেশি পরিমাণে খাবেন। এসব খাবারের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে এবং আপনার চুলকেও।

৭.অয়েল ম্যাসাজঃ অলিবয়েল বাদাম তেল ও নারকেল তেল ইত্যাদি তেল একত্রে মিশ্রিত করুন। তারপর সে মিশ্রিত তেল আপনার চুল এবং মাথার ত্বকে আলতো ভাবে আস্তে আস্তে মেসেজ করুন। একদিন পর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলবেন। এইভাবে মেসেজ করলে চুলের গোড়ায় পুষ্টিকর পৌঁছাবে চুল ভালো থাকবে।

চুল পড়া বন্ধ করার ২টি ঔষধের নাম

চুল পড়া বন্ধ করার উপায় এর জন্য দুটি ওষুধ পরীক্ষিত আছে ১ মিনোক্সিডিল যেটি পুরুষ বা মহিলার সকলের ব্যবহার করতে পারবে ২ ফিনাস্টেরাইড যেটি শুধু পুরুষরা ব্যবহার করতে পারবে তবে এই সকল ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে এই সব ওষুধ সকলের ব্যবহার করলে কার্যকর হবে না ।

চুল পড়া বন্ধ করার ২টি ঔষধের নাম

১.মিনোক্সিডিলঃ মিনোক্সিডিল মানুষের ডার্মাল প্যালিলারি কোষের জীবিত থাকার হার কি বৃদ্ধি করে এবং চুলের বৃদ্ধির এনাজেন্ট পর্বকে দীর্ঘস্থায়ী করে চুলের বৃদ্ধিকে দ্বিগুণ করে।মিনোক্সিডিল পটাশিয়াম চ্যানেলগুলিকে খুলে দেওয়ার কাজ করে হাইপার পোলার ইনজেকশনের কারণ হয় ও আর্টে ও লস গুলি বিস্তার ঘটায় এর কারণে মসৃণ বেশি ঠান্ডা করে ও প্রান্তস্থ ভাস্কুলার প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় যার ফলে রক্তচাপ কমে যায়।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দিকগুলোঃ
  • অনিয়মিত হৃদপিন্ডের হার বেড়ে যায়।
  • ওজন বৃদ্ধি পায়।
  • বুকে ব্যথা করে।
  • শ্বাস-প্রশ্বাস অসুবিধা হয়।
  • ত্বকে লালত্য ভাব বৃদ্ধি পায়।
  • পায়ের নিচের অংশ এবং পায়ের পাতা ফুলে যায়।
  • হাত-পায়ে টিংলিং সংবেদন।
  • চোখে জলন হয়।
  • মুখ হাত এবং পিঠে অতিরিক্ত চুল বৃদ্ধি হয়।
  • মাথাব্যথা করে।
২.ফিনাস্টেরাইডঃ এটি মানুষের শরীরের ডিহাইড্রোডটেস্টেরোস্টোন হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে কাজ করে।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
  • বুক ব্যথা করে।
  • মাথা ব্যাথা করে।
  • এলার্জির প্রতিক্রিয়া ঘটে।
  • চামড়াতে ফুসকরি।
  • এডিমা ফুলে যায়।
  • ডার্মাটাইসিস বা চর্ম রোগ হয়।
  • মহিলাদের দেহে ও মুখে অতিরিক্ত চুল বৃদ্ধি করে।

চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন

বর্তমান বাজারে অনেক ধরনের ভিটামিন ট্যাবলেট বিক্রি হয়। যেগুলো চুল পরা বন্ধ করার উপায় হিসাবে কাজ করবে বলে দাবি করে। সেগুলোতে অনেক চমক পদক কথাবার্তা লেখা থাকতে পারে। সেগুলো ওষুধের বা ট্যাবলেটের কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। এগুলো ব্যবহার করার শুধু টাকার অপচয়। চুলের জন্য বেশিরভাগ পুষ্টি উপাদান আলাদা ট্যাবলেট এর চেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে আসাই ভালো। তবে একটা ব্যতিক্রম আছে সেটা হল ভিটামিন ডি। খাবার থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া খুব কঠিন সহজ উপায় হল রোদে সময় কাটানো। 

কিন্তু যাদের পক্ষে এটা সম্ভব না তারা আলাদাভাবে ভিটামিন ডি ট্যাবলেট খেতে পারেন।ভিটামিন ট্যাবলেট এর ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকবেন কারণ অতিরিক্ত ট্যাবলেট নিলেও চুল পড়তে পারে। যেমন অতিরিক্ত ভিটামিন এ ট্যাবলেট এর ফলে চুল পড়ে যায়। কিন্তু আপনি হলুদ রঙের সবজি খেয়ে শরীরের ভিটামিন এ ঢোকার না কেন তাতে কোন ক্ষতি নাই।

চুল পড়া বন্ধ করার ৬ ধরনের শ্যাম্পু

বর্তমান বাজারে চুলে ব্যবহার করার জন্য অনেক ধরনের শ্যাম্পু রয়েছে।যেগুলো চুল পরা বন্ধ করার উপায় হিসাবে কাজ করবে বলে দাবি করে। আমরা যে ভুলগুলো করে থাকি তা হল আমরা আমাদের চুলের স্কিন সম্পর্কে না জেনে যেকোনো ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে শুরু করি। এর ফলে চুলের উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি হয়। প্রথমে আমাদের জানতে হবে আসলে আমাদের চুলের স্কিনটা কেমন তার উপরে ভিত্তি করে আমাদের সেই রকম শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। চলুন আমরা আমাদের স্কিন অনুযায়ী কেমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে তা জেনে নেইঃ

চুল পড়াঃ ট্রেসমে হেয়ার ফল ডিফেন্স শ্যাম্পু।
খুশকি দূর করাঃ ডাব ড্যানড্রাফ ক্লিন এন্ড ফ্রেশ শ্যাম্পু।
রং করা চুলঃ ট্র্রেসমে প্রো প্রটেক্ট সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু।
রুক্ষ চুলঃ লাভ বিউটি অ্যান্ড প্লানেট ন্যাচারাল অর্গান অয়েল এন্ড লাভেন্ডার আন্টি ফ্রিজ শ্যাম্পু।
ক্ষতিগ্রস্ত চুলঃ ডাব ইনটেন্স রিপেয়ার শ্যাম্পু ফর ড্যামেজ হেয়ার।
নেতানো নিষ্প্রাণ চুলঃ লাভ বিউটি অ্যান্ড প্লানেট ন্যাচারাল কোকোনাট ওয়াটার অ্যান্ড মিমোসা শ্যাম্পু।

চুলের জন্য মেথির ৬টি উপকারিতা

মেথির প্যাক চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে সবথেকে কার্যকরী একটি মাধ্যম। মেথির অনেক নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে যা আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী চলুন মেথি কিভাবে ব্যবহার করে চুলের যত্ন নেওয়া যায় তা জেনে আসি।
  • প্রথমে মেথি ভিজিয়ে রাখতে হবে তারপরে ছেঁকে নিতে হবে এই পানি বোতলের মধ্যে ভরে রাখতে হবে।সকালে সেই পানিটি চুলে স্প্রে করে লাগাতে হবে এবং কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলে দিতে হবে।
  • মেথি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপরে এটি কে বেটে চুলে লাগিয়ে দিতে হবে। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে এটিকে ধুয়ে ফেলুন। এটি ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করবে।
  • মেথি বেটে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।এরমধ্যে সামান্য পরিমাণে এলোভেরা জেল নিতে পারেন। পেস্টটি তৈরি হয়ে গেলে রুক্ষ চুলে লাগিয়ে রাখুন যতক্ষণ পর্যন্ত পেস্টটি না শুকিয়ে যায়। শুকিয়ে যাওয়ার পরে এটিকে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • দুই চামচ পরিমাণে মেথি ভিজিয়ে রেখে এটিকে পরদিন বেটে নিন এবং এর সাথে ১ চামচ লেবুর রস যোগ করুন এবং পেস্টটিকে চুলের গোড়ায় ব্যবহার করুন। ৩০ মিনিট পরে শুকিয়ে গেলে এটিকে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • মেথির মধ্যে আধা কাপ দই মিশিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রেখে দেন। পরের দিন মেথি এবং দই একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে চুলের গোড়ায় ব্যবহার করুন। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় আধা ঘন্টা রেখে তারপরে এটিকে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। এটি ব্যবহারের ফলে চুল ঝকঝকে ও খুশকি দূর হবে।
  • নারকেল তেলের সাথে তিন চামচ মেথি গুঁড়ো নিয়ে ভালোমতো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং এটিকে চুলের গোড়ায় মাসাজ করুন।আধাঘন্টা পরে এটিকে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

চুলের জন্য আদার ৪টি উপকারিতা

আদার প্যাক চুল পড়া বন্ধ করার উপায় হিসেবে সবথেকে কার্যকরী একটি মাধ্যম। আদার অনেক নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে যা আমাদের চুলের জন্য অনেক উপকারী চলুন আদা কিভাবে ব্যবহার করে চুলের যত্ন নেওয়া যায় তা জেনে আসি।
  • দুই চামচ আদা কুচি সঙ্গে অলিভ অয়েল তেল অথবা তিন চার চামচ তিলের তেল মিশিয়ে রাখুন এর সাথে খানিকটা লেবুর রস মেশাতে পারেন। এবার এই পেস্টটিকে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মাসাজ করতে থাকুন।আধাঘন্টা রেখে দেওয়ার পরে এটিকে শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক থেকে দুইবার মাসাজটি করার ফলে আপনার চুলের খুশকি দূর হবে।
  • এক চামচ জোজোবা অয়েল এর সঙ্গে এক চামচ আদার রস মিশ্রণ করুন। এবার এই মিশ্রণ পেস্টটিকে চুলের গোড়ায় মাসাজ করতে থাকুন। 30 মিনিট পরে এটিকে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এটি প্রতিদিন ব্যবহার করলে আপনার চুল বৃদ্ধি হবে খুব দ্রুত।
  • রাতে ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে নারকেল তেলের সাথে দুই চামচ আদার গুড়া মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তারপর সেটিকে চুলের গোড়ায় মাসাজ করুন। সকালে শ্যাম্পু করে পরিষ্কার করে নিন এটি আপনার চুলকে সিল্কি এবং ঝকঝকে রাখতে সাহায্য করবে।
  • এক চামচ মধু একটি ডিমের কুসুম এবং এক চামচ আদারগুড়া মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে চুলে ব্যবহার করুন। এরপরে এটিকে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুল নরম ও ঝলমলে করবে।

লেখকের মন্তব্য

আজকের এই আর্টিকেলের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে উপরোক্ত আলোচনায় আমরা চুল পড়া বন্ধ করার উপায়, চুল পড়া বন্ধ করার ৪টি তেলের নাম, চুল পড়া বন্ধ করার দুটি ওষুধের নাম, চুল পড়ার ভিটামিন ও মেথি এবং আদার ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করেছি।
এই বিষয়বস্তুটি বর্তমান সময়ে অনেক বড় একটি সমস্যার কারণ আপনার নিকটস্থ কেউ যদি এই চুলের সমস্যায় ভোগান্তি হয়ে থাকে। তাহলে তার কাছে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন।

এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আমরা নিয়মিত এই ওয়েবসাইটে এইরকম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে থাকি আপনারা এরকম তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে থাকুন ।আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করছি এবং আজকের মত এখানেই শেষ করছি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url